037146053
9:30 AM-05:00 PM

কলেজ পরিচিতি

মো: মোজাম্মলে হক, প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার প্রান্তে অবস্থিত ফেনী নদীর কূল ঘেষা পাহাড় ও অরণ্যানীর প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ, বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর সুন্দর সহাবস্থানের এক সবুজ সুখের আলয় ঐতিহ্যবাহী জনপদ রামগড় উপজেলা। মুক্তি ফৌজের প্রথম প্রশিক্ষণ ক্যাম্প প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রামগড় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত ইতিহাসের এক অনন্য সাক্ষী। রামগড় উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই অঞ্চলের একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘রামগড় সরকারি কলেজ’। ১৯৮০ সালে অত্র এলাকার শিক্ষানুরাগী কিছু আলোকিত মানুষের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কলেজ। ১৯৯২ সালে কলেজটিকে জাতীয়করণ করার মাধ্যমে প্রান্তিক এলাকার শিক্ষার মানকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৯৮৫-১৯৮৬ শিক্ষা বর্ষে ডিগ্রি ¯œাতক কোর্স চালুর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার টারশিয়ারি স্তরে প্রবেশ করে। পাহাড়ের উঁচু নিচু ৬.৯৩ একর জমিতে অবস্থিত অনিন্দ্য সুন্দর এই কলেজ ক্যাম্পাস। বিগত ৩৮ বছর যাবৎ এই এলাকার মানুষকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করার প্রক্রিয়ায় কলেজটির অবদান অনস্বীকার্য। তারই ধারাবাহিকতায় এ কলেজ সর্বমোট এক হাজার দুই শত আটাশ জন ছাত্র-ছাত্রী বর্তমানে অধ্যয়নরত রয়েছে। বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন কর্তৃক নিয়োগকৃত অত্যন্ত মেধাবী ও প্রজ্ঞাবান কর্মকর্তাগণ কর্তৃক পরিচালিত হয় রামগড় সরকারি কলেজের শিক্ষা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম। 

বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের তত্ত্বীয় জ্ঞানের পাশাপাশি ব্যবহারিক জ্ঞানকে শাণিত করার জন্য রয়েছে চারটি বিশেষায়িত গবেষনাগার। ছাত্র-ছাত্রীদের চিন্তা, মেধা ও মননের বিকাশের জন্য রয়েছে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী। ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর রচিত আনুমানিক ২০ হাজার বই রয়েছে এই গ্রন্থাগারে। তরুণ প্রজন্মকে তথ্য ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক “শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব”। ছাত্রদের আবাসিক সমস্যা সমাধানে ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মরহুম সুলতান আহাম্মদ ছাত্রবাস’। ছাত্রীদের জন্য ১৫০ আসনের ৬ তলা হোস্টেল নির্মাণের কার্যক্রম ইতোমধ্যে হাতে নেয়া হয়েছে।
একজন শিক্ষার্থীকে তত্ত্বীয় জ্ঞানের গন্ডির বাহিরে গিয়ে সুশিক্ষিত ও মননশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য রয়েছে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রম। একজন ছাত্রকে পড়ালেখার পাশাপাশি দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্ব সচেতন করার জন্য রোভার স্কাউট, এবং রেড ক্রিসেন্ট এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বর্তমানে উন্মুক্ত বিশ্বের তীব্র প্রতিযোগিতার যুগে উন্নতমানের শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। বিশ্বায়নের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠাকাল থেকে এই কলেজ দক্ষ ও সৃজনশীল, সৎ, দেশপ্রেমিক এবং সুনাগরিক গড়ে তোলার কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।

অধ্যক্ষের বাণী

প্রফেসর মোহাম্মদ নুরুন্নবী-২৯৭২
রামগড় সরকারি কলেজ
রামগড়, খাগড়াছড়ি।

পাহাড়ি বাঙ্গালিসহ বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর অপূর্ব মিশেলে গড়ে ওঠা রামগড় সরকারি কলেজ, রামগড় উপজেলার প্রাচীন ও একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বায়নের এই যুগে তথ্য ও প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জাতির কোন বিকল্প নেই। আগামীর বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডিজিটালাইজেশন করা সরকারের একটি যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রুপকল্প ২০২১ কর্মসূচির পূর্ণ বাস্তবায়ণের জন্য প্রয়োজন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে রামগড় সরকারি কলেজ তাদের ওয়েবসাইটকে আরও সময়োপযোগী করে প্রকাশ করেছে। রামগড় সরকারি কলেজকে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় বিশ্ব মানচিত্রে আতœপ্রকাশের জন্য কলেজের সকল কার্যক্রম তথা শিক্ষক , কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের যাবতীয় তথ্যাদি কলেজ ওয়েবসাইটে সন্নিবেশিত হয়েছে। যা সকলের সব ধরণের সেবা প্রাপ্তিকে আরও সহজতর করবে। আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে শ্রেণিতে পাঠদান সম্পন্ন করা হচ্ছে। কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইট তরুন প্রজন্মকে তথ্য ও প্রযু্িক্তর ব্যবহার ও জ্ঞানার্জনে অধিকতর আগ্রহী করে তুলবে এই আমার প্রত্যাশা।

উপাধ্যক্ষের বাণী

প্রফেসর মুহা. জয়নুল আবেদীন-২৮৬৪
রামগড় সরকারি কলেজ
রামগড়, খাগড়াছড়ি

বাংলাদেশ ও ভারতের সীমানা ঘেঁষে বয়ে চলা ফেনী নদীর তীরে গড়ে উঠা এক সময়ের সমৃদ্ধ মহকুমা শহর রামগড়ের উচ্চ শিক্ষার এক মাত্র প্রতিষ্ঠান রামগড় সরকারি কলেজ- কালের পরিক্রমায় স্বমহিমায় দীপ্তি ছড়িয়ে এ অঞ্চলের অধিবাসীদের আশা আকাঙ্খার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌকর্য মন্ডিত জনপদ রামগড় যেমন জীব বৈচিত্র্যে প্রাচুর্যময় তেমনি এখানে বহু জাতিগোষ্ঠীর মানুষের অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে। অর্থনৈতিক অনগ্রসরতা, দারিদ্র্য, কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব সত্ত্বেও সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা দানের জন্য এখানকার মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রাণ সঞ্চার করে যাচ্ছে রামগড় সরকারি কলেজ। ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বহু নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক, শিক্ষা প্রশাসকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠান উপহার দিয়েছে বহু সরকারি কর্মকর্তা, ডাক্তার, প্রকৌশলীসহ অসংখ্য উচ্চ শিক্ষিত তরুণ। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা  ও মানবিক শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে শিক্ষাদানকারী এ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষকের পদ সৃষ্টি না হওয়ায়  স্নাতক ( সম্মান ) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। কলেজটিতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স চালু করা সময়ের দাবী। বর্তমান প্রশাসন এ লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশাবাদী অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা রামগড় সরকারি কলেজ থেকে  স্নাতক( সম্মান ) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স লাভ করতে পারবে।